১৯৯৯ এর নভেম্বরে যখন ২১শে ফেব্রুয়ারীকে ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করে, সে বার বিজয় দিবসে একুশকে নিয়ে একটা কবিতা লিখেছিলাম। লেখাটি হারিয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু আমার বোন এটা হারাতে দেয় নি। ধন্যবাদ Ummara।
২১ বছর আগের লেখা। বয়স ছিল ১৪। ছন্দের কিছু অমিল আছে। তার উপর কেমন যেন কবিগুরু কবিগুরু ভাব। শুদ্ধ করলাম না। যেমন ছিল তেমনই দিয়ে দিলাম।
দেখি নি খাতায় – মনের পাতায় “একুশে” তোমার কথা,
তথাপি শুনেছি, অমর জেনেছি – তোমার মহান গাঁথা।
বায়ান্ন সালে ভাষার মিছিলে দেখিনি তোমায় হায়,
না দেখার দুখ ভরেছে এ বুক – দেখিবারে মন চায়।
ওরা বলে মোরে, “আফসোস ওরে, দেখিসনি দু নয়নে,
নুরুলের ধারা ভেঙেছিল তারা, ছুটেছিল পথপানে।
ছাত্ররা সব করে কলরব বাংলারে চেয়েছিল,
এত যে সাহস – ছিল গুরুদোষ, গুলি তাই ছুটেছিল।
কালো পিচ তাই লাল হল হায় বাঙালীর তাজা খুনে,
রফিক সালাম – ছোট ছোট নাম মনে তে আঘাত হানে।
ভিজেছিল পথ – শফি বরকত জব্বারের রক্তে,
সে পথের ধার শহীদ মিনার – সালাম করে ভক্তে।
ওরে কচিলতা, বুঝবি কী কথা? দিস তোরা শুধু ফুল,
একুশের গান – তোদের পরাণ কভু করে কি আকুল?”
শোনেনি এ কান একুশের গান অর্ধশতক আগে,
এখন শুনেছে – পরাণ মেতেছে কৃষ্ণচূড়ার রাগে।
স্বচোখে দেখিনি মিছিল করি নি – তবুও তাহারে বুঝি,
ইতিহাসে নয়, কাহিনীতে নয় – তারি মাঝে তারে খুঁজি।
শয়নে স্বপনে হৃদয় গহীনে একুশে তোমারে চিনি,
বিশ্ব মাঝারে দিয়াছ ছড়ায়ে আপন মহিমাখানি।
“চিনেছি তোমারে একুশ”
~ চারু
১৬/১২/১৯৯৯