শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী
আমরা যারা শিক্ষকতা পেশার সাথে জড়িত, আজ তাদের জন্য কিছু কথা বলার ছিল। এই কথা গুলো আমার নিজের জন্য ও প্রযোজ্য। দেখুন , শিক্ষক / শিক্ষিকা মানে আস্থা, বিশ্বাস, ভালোবাসা আর সম্মানের একটা জায়গা। আর এই সম্মান এক দিনে হয় না, এইটা আস্তে আস্তে গড়ে নিতে হয়। কিছু নিয়ম একটু মেনে হয়তো চলা ই যায় না?
ছাত্র বা ছাত্রীটি আপনাকে হয়তো কোনো একটা প্রশ্ন করেছে, আপনি হুট্ করে তাকে বলে বসলেন : ইউ টিউব সার্চ করে দেখে নাও। কেন গো ? যে মানুষ টি নিজের কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে আপনার কাছে পড়তে চাইছে , সার্চ যদি তাকেই করে নিতে হয়, তো আপনি শিক্ষক আছেন কেন?
ছাত্র টি এক প্রশ্ন বার বার করে, তাই আপনি তার ওপর হয়ে গেলেন চরম বিরক্ত। মানুষ তো প্রশ্ন করেই শেখে, তাই না?
বিবাহিতা ছাত্রী টি /বিধবা মায়ের মেয়েটি সময় মতো ক্লাস এ আসতে পারলো না। তাতে করে আপনি সিদ্ধান্ত নিয়ে বসলেন যে তাকে আর শেখানো সম্ভব নয়। ওই বিবাহিতার কোলে যে দশ মাসের বাচ্চা, বা ওই মেয়েটি যে মায়ের কাজে সাহায্য করে তবেই পড়তে পারবে, অন্তত এই টুকু বুঝুন। ছাত্রটি অফিস ফেরত হলে সময়ের বেঘাত (ধুর বানান!) তার ও ঘটতে পারে।
ছাত্র/ছাত্রীর বেলায় :
আপনি প্রাপ্ত বয়স্ক, তার মানে এই না যে , বাড়ির কাজকে আপনি হেলা ফেলা করতে পারেন হাজারো অজুহাত দিয়ে। ওই কাজ টুকু আপনাকে শেখানোর জন্যই দেয়া হয়।
আপনি কাজের জন্য যেমন দুই একদিন দেরি করে ক্লাসে ঢোকেন , তেমনি আপনাকে যিনি পড়ান , তার ও কাজ বা অসুস্থতা থাকতে পারে। একদিন এর দেরিতে আপনি বলতে পারেন না, এতো টাকা দিয়ে পড়ি, টিচার দেরি করে কেন ?
দেখেন, পরীক্ষা দেয়া মানে আপনি কত টুকু বোঝেন সেটা জানা। আপনি ভয়ে পরীক্ষা ই না দিলেন , তবে আর কি করে হয় ?
একান্ত নিজস্ব মতামত দিলাম। কাউকে হেয় করা আমার উদ্দেশ্য নয়।