“অপেক্ষা”
**********
বারান্দায় হাত নাড়ছে মা, জানালায় বাবার ছায়া।
দূর থেকে মায়ের বেগুনি শাড়ী
গ্রাস করছে আমার অস্তিত্ব।
হঠাৎ মেয়ের কন্ঠে
“আম্মা দেখ আমার চুলে কতো জট”
“আরে তোমার কী হলো আবার”,”মন খারাপ”?
চুলায় ধরে আসা তরকারির গন্ধে
ফিরে আসি বাস্তবে।
ভিজানো কাপড় ধুতে হবে, ঘর পরিস্কার,
রান্না, কতো কাজ।
সাবান, স্যাভলন,স্যানিটাইজারে
ঢেকে যায় দূর থেকে ভেসে আসা
সাদা রংগন আর গন্ধরাজের ঘ্রাণ।
তপ্ত দুপুরে ছাদে দৌড়াই
ধ্যাৎ কোথায় ঝড়?
বরং কী সুন্দর নীল আকাশটা।
সে কী খবর পায় আমাদের?
হয়তো পায়, তাই মাঝেমধ্যে সন্ধ্যায়
ঝড় ওঠে।
ঝুঁকে পরে দেখি অনেক নীচে আমার
বেলী ফুল আর নিম গাছটা _
কতদিন কাছে থেকে দেখিনা।
এভাবেই নানান কাজে সময় গড়ায়
রেলগাড়ীর থেকেও দ্রুত….
হঠাৎ মেয়ের মুখে চোখ পরে,
ওখানেই সব সুখ, সমাপ্তি সব শংকার।
আমার চারপাশ ঘিরে পাতা ওড়ে, ঘর আলো করে পুরানো কালের রোদ আসে,
নতুনকে পথ চেনাতে।
বেঁচে থাকা সত্যি এক আশ্চর্য অনুভব,
দেখা হোক না হোক, শুধু কন্ঠে কন্ঠে বেঁচে থাকা।
অপেক্ষা করা নতুন রোদ বৃষ্টি,ঝড়ের।
**********************************
নতুন বছর নতুন আশা নিয়ে আসুক সবার জীবনে।